,

ট্রনেরে টকিটে আসন বৃদ্ধরি দাবতিে রলেমন্ত্রীর বরাবরে নাগরকি কমটিরি স্মারকলপিি শায়স্তোগঞ্জে রলেওয়ে বভিাগীয় র্কমর্কতার বরাবরে ষ্টশেন মাষ্টাররে লখিতি অভযিোগ

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের ৬টি আন্তন্গর ট্রেনের টিকেট সংকট নিরসনে ও টিকেট বৃদ্ধিদাবিতে রেল মন্ত্রীর কাছে হবিগঞ্জ জেলা নাগরিক কমিটি নেতৃন্দের স্মারক লিপি ও রেলওয়ে বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তার বরাবরে ষ্টেশন মাষ্টারের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা পর্যটন ও শিল্পনগরী হওয়ায় সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন হতে প্রতিদিন ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের শহস্রাধিক যাত্রী শায়েস্তাগঞ্জ-ঢাকা, শায়েস্তাগঞ্জ-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন যোগে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সরকারী, আধা-সরকারী এবং স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসের কাজে প্রতিনিয়ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলপথে যাতায়াত করতে দেখা যায়। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জ হতে ঢাকা এবং চট্টগ্রামগামী ট্রেনের যাত্রীর তুলনায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে টিকেট বরাদ্ধের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে বর্তমানে শ্রেণী ভিত্তিক ২৪৪টি টিকেট বরাদ্ধ রয়েছে। এই আসন সংখ্যা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ-ঢাকা আন্তঃনগর কালনী শোভন চেয়ার ৫০টি, আন্তঃনগর জয়ন্তিকা শোভন চেয়ার ২৫টি ও ১ম বার্থ ২টি, আন্তঃনগর পারাবত শোভন চেয়ার ১০টি ও শোভন ২০টি এবং শায়েস্তাগঞ্জ-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর উদয়ন ৩৮টি, কুমিল্লা শোভন ৫টি, লাকসাম শোভন ৫টি, ফেনী ২টি, আন্তঃনগর পাহাড়িকা শায়েস্তাগঞ্জ-চট্টগ্রাম এসি স্নিগ্ধা ৪টি, প্রথম শ্রেণী ২টি, শোভন ২২টি, কুমিল্লা ৮টি, লাকসাম ৫টি ও ফেনী শোভন ৫টি বরাদ্ধ টিকেট নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে প্রতিদিন ৬টি ট্রেনের আসন ৮৫০টি শ্রেণী ভিত্তিক চাহিদা বৃদ্ধি জন্য শায়েস্তাগঞ্জ-ঢাকা আন্তঃনগর কালনী শোভন ১০০টি, আন্তঃনগর জয়ন্তিকা শোভন চেয়ার ৮০টি ও ১ম শ্রেণী ৫টি, আন্তঃনগর উপবন শোভন চেয়ার ৫০ টি ও ১ম বার্থ ৬টি, আন্তঃনগর পারাবত শোভন চেয়ার ১০০টি, শোভন ২০টি ও ১ম শ্রেণী ৩টি এবং শায়েস্তাগঞ্জ-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর উদয়ন ১ম বার্থ ৬টি, শোভন চেয়ার ২০টি, ও শোভন ১৫০টি, কুমিল্লা শোভন ২০টি, লাকসাম ২০টি ও ফেনি শোভন ১০টি, আন্তনগর পাহাড়িকা এসি সিগ্ধা ১০টি, ১ম শ্রেণী ১০টি, শোভন চেয়ার ২০টি, শোভন ১৫০টি, কুমিল্লা শোভন ২০টি, লাকসাম ২০টি, ফেনী ২০টি টিকেট প্রয়োজন। এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীরা টিকেট স্বল্পতার কারণে হবিগঞ্জ জেলার যাত্রীরা প্রতিদিন উত্তেজিত হয়ে ষ্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গেঁ প্রায় সময়ই আশোভন আচরন করে যাচ্ছে। এতে বর্তমানে চাহিদা সাড়ে ৮শ টিকেট বরাদ্ধ দাবী জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা নাগরিকবৃন্দ। গত ১০ ডিসেম্বর সকালে রেল মন্ত্রী মজিবুল হকের কার্যালয়ে গিয়ে তার হাতে স্মারক লিপি তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। এ প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট পূর্বে কতটি ছিল তা দ্রুত তদন্ত করে টিকেট সংকট নিরসনের জন্য রেলের মহা-পরিচালককে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক মধাব রায় ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালার আহমেদ আলাদা ভাবে রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সাথে আলাপ করে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সংকট নিরসনের অনুরোধ জানান। রেল সচিব ও মহাপরিচালক বিষয়টি দেখবেন বলে তাদেরকে আশ^স্থ করেন। এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সংকট নিরসনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন রেল মন্ত্রী বরাবরে ডিও লেটার দিয়েছেন। অপর দিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট আসন বৃদ্ধির জন্য রেলওয়ে উর্ধ্বতন বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকতার বরাবরে গত ১০ ডিসেম্বর লিখিত অতিরিক্ত টিকেট বরাদ্দ পত্র পাঠান এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ¦ মোঃ আবু জাহির, চট্টগ্রাম রেলওয়ে সিসিএম, সিআরবি, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অতিরিক্ত টিকেট বরাদ্দ পত্রের অনুলিপি দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর